Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd জুন ২০২৪

দর্শনীয় স্থানসমূহ

আওতাধীন ক্ষেত্রসমূহ ও বর্ণনা:
      নারায়ণগঞ্জ জোনের পর্যটন এলাকায়
০১) বাংলাদেশ লোক ও কারু শিল্প জাদুঘর, সোনারগাঁও
০২) পানাম নগর
০৩) গোয়ালদি মসজিদ
০৪) বড় সরদার বাড়ি
০৫) পানাম সেতু
০৬) জ্যোতি বসুর বাড়ি
০৭) টাকশাল
০৮) লাঙ্গলবন্দ
০৯)বালিয়াপাড়া রাজবাড়ি
১০) কদম রসূল দরগাহ্
১১) সোনাকান্দা দূর্গ
১২)হাজী বাবা ছালেহ(রাহঃ) এর মাজার
১৩)বন্দর শাহী মসজিদ
১৪) সুলতান গিয়াস উদ্দিস আযম শাহ্ মাজার
১৫) পাঁচ পীরের মাজার
১৬) সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেসা এক গুম্ভুজ
১৭) পোদ্দার বাড়ি
১৮) মেরি এন্ডরসন
১৯) ইপিজেড আদমজি
২০) হাজীগঞ্জ দূর্গ
২১) বিবি মরিয়মের সমাধী
২২) পাগলা সেতু
২৩) মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি
২৪) শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম
২৫) বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি
২৬) রাসেল নগর পার্ক
২৭)  তাজমহল
২৮) পিরামিড
২৯) রাসেল পার্ক
৩০) জিন্দা পার্ক।
 
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, সোনারগাঁও
     
     সোনারগাঁও বাংলার ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল প্রাচীন জনপদ। প্রায় তিনশত বছর সোনারগাঁও প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল। সুলতানী আমলের পটভুমিতে আমাদের সোনালি ঐতিহ্যের দিকে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখতে বেছে নেয়া হয়েছিল সোনারগাঁকে। মুঘল সুবেদার ইসলাম খানের সময়ে ১৬০৮ সালে ঢাকায় রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ার পর সোনারগাঁয়ের গুরুত্ব কমে যায়। ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে অতীত স্মৃতিকে সামনে রেখেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরামর্শ এবং আর্থিক সাহায্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় গৌরবদীপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ লোক ও কারু শিল্প ফাউন্ডেশন যা সোনারগাঁও জাদুঘর নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী লোক ও কারু শিল্পের সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও পুনরুজ্জীবন করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ সরকার এক প্রজ্ঞাপন বলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারু শিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে।
 
পানাম নগর
 
     পানাম নগর নারায়ণগঞ্জ জেলার, সোনারগাঁতে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিলো সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ১৫ শতকে ঈসা খাঁ বাংলার প্রথম রাজধানী স্থাপন করেছিলেন সোনাগাঁয়ে। ঐ সময়েই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্তর ফলে ইউরোপীয় অনুপ্রেরণায় নতুন ঔপনিবেশিক স্থাপত্যরীতিতে বাণিজ্যিক নগর হিসেবে গড়ে উঠে পানাম নগরী। সোনারগাঁর প্রাচীন শহর ছিলো পানাম। শহরটিতে ঔপনিবেশিক ধাঁচের দোতলা এবং একতলা বাড়ি রয়েছে ৫২ টি। যার বেশিরভাগ বাড়িই ঊনবিংশ শতাব্দির (১৮১৩ খ্রিষ্টাব্দের নামফলক রয়েছে)। মূলত পানাম ছিলো বাংলার সে সময়কার ধনী ব্যবসায়ীদের বসতক্ষেত্র। পানামের টিকে থাকা বাড়িগুলোর মধ্যে ৫২টি বাড়ি উল্লেখযোগ্য। পানাম সড়কের উত্তর পাশে ৩১টি আর দক্ষিণ পাশে ২১টি বাড়ি রয়েছে। ২০০৩ সালে প্রতœতাত্তিক অধিদপ্তর এটিকে সরকারী ঘোষনা করে। 
 
গোয়ালদি মসজিদ
 
     গোয়লদি মসজিদটি  আলাউদ্দিন হোসেন শাহর (১৪৯৪-১৫১৯) রাজত্বকালে নির্মিত। সোনারগাঁয়ে হোসেন শাহর রাজত্বকালের যেসব শিলালিপি পাওয়া যায়, তার মধ্যে গোয়লদি মসজিদ-সংলগ্ন শিলালিপি অন্যতম। ভারতের গৌড়, পান্ডুয়া ও বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের ইমারতের মতো এ মসজিদের ভেতর ও বাইরের দেয়ালে পাথর এবং ইটের ওপর আরব্য অলংকরণ লক্ষ করা যায়। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের চার কোনায় চারটি টাওয়ার রয়েছে। টাওয়ারগুলো সুলতানি রীতিতে তৈরি। মসজিদটির দেয়ালগুলো ১ দশমিক ৬১ মিটার প্রশস্থ। মসজিদে প্রবেশের জন্য পাঁচটি খিলান পথ রয়েছে। প্রদান প্রবেশ পথ বরাবর মূল মেহরাবটি অবস্থিত । ১৯৭৫ সাল থেকে সরকার ঐতিহাসিক এ মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণসহ সার্বিক বিষয়ে দেখভাল করে আসছে। প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর উদ্যোগী হয়ে মসজিদের ইতিহাস সাইনবোর্ড টাঙিয়ে উল্লেখ করেছে, যাতে এর ইতিহাস বিকৃত না হয়।
 
 বড় সরদার বাড়ি
 
     প্রচীন মুসলিম শাসনামলে ১২৯৬ থেকে ১৬০৮ সাল পর্যন্ত সোনারগাঁও বাংলা প্রদেশের রাজধানী ছিল। এরপর রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করা হলে সোনারগাঁর প্রধান্য কমে যায়। দুটি ভাগবিশিষ্ট সর্দারবাড়ির ছোট প্রবেশমুখের ভাগটিতে একটি দেয়াল লিখন থেকে জানা যায়, যে এই ভবনের পিছনে চারপাশের তিনটি ভবন মুঘল আমলের প্রথমদিকে নির্মিত। মধ্যভাগের লাল বর্গাকার ভবনটি বাংলার বারো ভূইয়ার সময় নির্মিত হয়েছে। সামনের অংশ ১৯০২ সালে নির্মাণ করা হয়। এর নিচতলায়  ৪৭টি এবং দ্বিতীয় তলায় ৩৮টি কক্ষ বিদ্যমান।
 
পানাম সেতু
 
     মূঘল সাম্রাজ্যের প্রত্যক্ষ শাসনে আসার পর মুঘলরা সোনারগাঁতে বেশ কিছু সড়ক ও সেতু নির্মাণের ফলে সোনারগাঁ ও পানাম শহর নতুন রূপে আবির্ভূত হয়। মূঘল আমল উপমহাদেশের যে কোন এলাকার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। তিন পিলার বিশিষ্ট সেতুটি দৈর্ঘে ১৭৩ ফুট এবং প্রস্থে ১৪ ফুট। সেতুটির খাঁড়া ইটের গাথুনি বৃত্তাকারে সন্নিবেশিত। সেতুর মধ্যবর্তী খিলানটি অপর দুটি অপেক্ষা উচু এবং প্রশস্থ। যার ফলে সেতুটির নিচ দিয়ে জলযান চলাচল করতে পারত ।
 
জ্যোতি বসুর বাড়ি
 
     ভারতের প্রখ্যাত বাম রাজনীতিক ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ১৯১৪ সালের ০৮ জুলাই কলকাতায় জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতা ডাঃ নিসিকান্ত বসু নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের অধিবাসী ছিলেন। ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কি: মি: দূরে এই বারদী ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়ায় জ্যোতি বসুর একটি পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় জ্যোতি বসু তাঁর এই পৈতৃক বাড়িটি পাঠাগারে রূপান্তরিত করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। বাঙালির অকৃত্রিম বন্ধু এই মহান রাজনীতিবিদ ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি ইহলোক ত্যাগ করেন। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাড়িটি পাঠাগারে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দেন। বর্তমানে এটি পাঠাগার ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
 
টাকশাল
 
     সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক পানাম নগরের কাছে অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর এক অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে ক্রোড়ি বাড়ি টাকশাল। প্রায় চার শতাব্দীর পুরনো এ টাকশালটি এখন পরিত্যক্ত একটি ভবন। গৌড়ীয় দোচালা স্থাপত্য রীতিতে তৈরি এ টাকশালটি চারদিকে রয়েছে পাতলা জাফরি ইটের উঁচু দেয়াল। টাকশালটির উত্তরে রয়েছে বিশাল দীঘি। এক সময়ে দীঘির চারদিকে শান বাঁধানো ঘাট ছিল। বর্তমানে ঘাটের কোন অস্তিত্ব নেই। তবে দীঘিটি আগের মতোই রয়েছে। স্থানীয় লোকেরা আমিনপুরের এ টাকশালটিকে ক্রোড়ি বাড়ি বলে থাকে। মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে পরগনার রাজস্ব অধিকর্তা ও রাজস্ব সংগ্রাহকের পদবি ছিল ক্রোড়ি। ১৫৭৪ খ্রিস্টাব্দে ১শ’ ৮২ জন ক্রোড়ি নিয়োগ হয়েছিল আর্থিক কাজকর্ম দেখভালের জন্য। ধারণা করা হয় সে থেকেই এ বাড়ির নাম ক্রোড়ি বাড়ি। মুসলিম এবং হিন্দু স্থাপত্যের অপূর্ব সংমিশ্রণে এ টাকশালটি তৈরি করা হয়েছিল। টাকশালের দেয়ালে রয়েছে লতাপাতাসহ নানা ধরনের অলঙ্করণ। রয়েছে ঢেউ খেলানো খিলান, খিলানের মাথায় রয়েছে বাজপাখি ও পদ্ধফুলের খোদাই করা প্রতিকৃতি। ভগ্নপ্রায় ইমারতে রয়েছে অসংখ্য খুপরি ও কুঠুরি। ভূগর্ভস্থ কুঠুরিগুলোতে সরকারি মুদ্রা ও সোনার মোহর রাখা হতো বলে ধারনা করা হয়। এর সঙ্গে ৪৫০ বছরের ইতিহাস জড়িত। প্রাচীন বাংলার রাজধানী সময়কালের এখানে মুদ্রা সংরক্ষণ করে রাখা হতো। এতো বছর হয়ে গেলেও এটি এখনো প্রতœতত্তব অধিদপ্তরে আওতায় নিয়ে আসা হয় নি। ফলে এ স্থাপনাটি অনেকটাই ধ্বংসের মুখে।
 
লাঙ্গলবন্দ
 
     ১৯০১ সালে ২৭ শে মার্চ স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম ব্রহ্মপুত্র নদের এই ঘাটে ¯œান করেন। তার পর থেকে হিন্দু ধর্মালম্বীরা পাপ মোচনের উদ্দেশ্যে চৈত্র মাসের শুক্লাষ্টমী তিথীতে এই ঘাটে ¯œান করে থাকে। যা এখন পর্যন্ত চলমান।
 
বালিয়াপাড়া রাজবাড়ি
 
     আনুমানিক ১৯০০ শতকে জমিদার মুকুন্দ মুরালি এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি জমিদার হওয়ার আগে অন্য এক জমিদারের আওতায় একজন খাজনা আদায়কারী ছিলেন। এছাড়াও তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। পরবর্তীতে ব্রিটিশদের কাছ থেকে জমিদারী লাভ করেন। দেশ ভাগের পর তিনি তার জমিদারী এলাকার সকল সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে চলে যান। শুধু তার মেয়েকে নারায়ণগঞ্জে বিবাহ দেওয়ার কারণে তিনি তার জমিদার বাড়িটি বিক্রি করেননি।
 
কদম রসূল দরগাহ্
 
     কদম রসুল দরগাহ্ ১৭৭৭-৭৮ খ্রিস্টাব্দে গোলাম নবী নামে ঢাকার একজন জমিদারের হাতে নির্মিত। দরগার ভেতরে মঠ ছাড়াও একটি বিশাল মসজিদ রয়েছে। কদম রসুল  দরগাটি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত। ধারণা করা হয়, দরগায় রক্ষিত পাথরের ফলকের উপর দৃশ্যমান পদচিহ্নটি প্রকৃতপক্ষে হযরত মুহম্মদ (সা:) এর পদচিহ্ন। পাথরের ফলকটি আকারে প্রায় ২৪০০ বর্গ সে: মি: এবং অনেকটা মানুষের পায়ের পাতার আকৃতিতে কাটা। ইতিহাস বিদদের মতে মাসুম খান কাবুলী নামে একজন আফগান রাজা/সেনাপ্রধান সপ্তম শতাব্দীতে এই নিদর্শনটি একজন আরব সওদাগর-এর নিকট থেকে সংগ্রহ করেন। বর্তমানে যে মঠের ভেতরে কদম রসুল ফলকটি রক্ষিত ।
 
সোনাকান্দা দূর্গ
 
     ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে মীর জুমলাকে তৎকালীন বাংলা প্রদেশের সুবাদার বা গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি জলদস্যু দ্বারা বাংলার গুরুত্বপূর্ণ শহর গুলোতে লুটতরাজ চালানোর ব্যাপারে অবগত ছিলেন। জলদস্যু্দরে আক্রমন থেকে রাজধানী ঢাকাকে রক্ষা করতে তিনি ঢাকার আশেপাশে তিনটি জল দুর্গ নির্মাণ এর সিদ্ধান্ত নেন। নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় অবস্থিত সোনাকান্দা দুর্গ তারমধ্যে একটি। এই দুর্গ নির্মাণের তারিখ সম্বলিত কোন শিলালিপি পাওয়া যায় নি। তবে ঐতিহাসিকদের মতে এটি ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল।
 
হাজী বাবা ছালেহ(রাহঃ) এর মাজার
 
     আনুমানিক ১৪৮০ খ্রিষ্টাব্দে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বতীরবর্তী এলাকায় সুফী সাধক হাজী ছালেহ বাবা ইয়েমেন হতে তার পূর্ব পুরুষদের সাথে আগমন করেন। পরবর্তীতে তিনি ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রচারক এবং ধর্মীয় সাধক হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি অত্র এলাকায় মৃত্যু বরণ করলে গঙ্গাকুল এলাকায় তাকে সমাহিত করা হয় এবং তার সমাধি ছালেহ বাব (রহঃ) এর মাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
 
বন্দর শাহী মসজিদ
 
     এই মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক মুসলিম পুরাকীর্তির নিদর্শণ। জানা যায় হিজরী ৮৮৬ সাল তথা ১৪৮১ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান মাহমুদ শাহ এর পুত্র আবু মুজাফ্ফর আলাউদ্দিন ফতেহ্ শাহ এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এটি প্রায় ধ্বংসের পথে।
 
 
সুলতান গিয়াস উদ্দিস আযম শাহ্ মাজার
 
     নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলাধী সাচিলপূর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী পানাম নগরীর মোগড়াপাড়া এলাকার সাচিলপুর গ্রামে বাংলার স্বাধীন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্ বাংলার শাসন কর্তা সুলতান সিকান্দার শাহ্রে বিদ্রোহী পুত্র সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্ এর সমাধী। সৌধটি পাথর দ্বারা ১৪১০ খ্রিঃ নির্মিত হয়। এই সৌধটি ১৯২০ সালে সরকার কর্তৃক প্রাচীক কৃর্তি হিসাবে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়। সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্ ১৪০২ খ্রিঃ মৃত্যুবরণ করেণ। এবং পাশে  সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্ এর প্রধান সেনাপতির কাজী সিরাজ উদ্দিন এর সমাধীটি বিদ্ধমান আছে বলে অনুমান করা হয়।
 
পাঁচ পীরের মাজার
 
     পাঁচ পীর বলতে পাঁচ জন ধর্মীয় ব্যাক্তিকে বোঝানো হয়। কারো কারো ধারণা যে, তারা পারস্য থেকে এসেছিলেন, তবে এই পাঁচ পীরের পরিচয় নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারে না। বিভিন্ন স্থানে পাঁচ পীরের বিভিন্ন তালিকা পাওয়া গেছে কিন্তু এ তালিকা গুলোতে মূলত স্থানীয় পীরদের নাম রয়েছে। তবে ‘গাজী মিয়া’র নামটি সকল তালিকাতেই রয়েছে, যদিও এই গাজী মিয়া কে তাও জানা সম্ভব হয়নি। যেহেতু ধর্মযুদ্ধে মৃত্যু বরণকারীদের শহীদ এবং বিজয়ীদের গাজী বলা হয় এবং গাজী উপাধী সাহসিকতা ও বীরত্বের প্রতীক ছিল, তাই গ্রামের দরিদ্র জনগণ ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে পাঁচ পীরের বন্দনা করত এবং তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় প্রার্থনা করত। 
 
সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেসা এক গুম্ভুজ 
 
     সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেসা এর আমলে ১৪৮৪ সালে এক গুম্ভুজ বিশিষ্ঠ মসজিদটি স্থাপিত। মসজিদ সংলগ্ন হযরত ইবরাহিম দানেশ মান্দ (রাঃ) বাগদাদ এর মাজার রয়েছে। জিনের মসজিদ নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। মসজিদটি নারায়নগঞ্জ সদর থানায় অবস্থিত।
 
পোদ্দার বাড়ি
 
     আনুমানিক ১২০০- ১৩০০ বঙ্গাব্দে পোদ্দার বাড়িটি তৈরি স্থানীয় অনেকের ধারনা। এই বাড়িটি ১০০টি কক্ষ বিশিষ্ট। কেউ কেউ আবার ৭০০ বছরের পুরনো বলেও জানান। তবে বয়স্করা রামমোহন পোদ্দার, শশী পোদ্দার, আনন্দ পোদ্দার, গোপী পোদ্দারকে দেখেছেন বলে জানান। আনন্দ পোদ্দারের নিজস্ব জায়গায় তারই নামেই আনন্দ বাজার হাটটি মিলিয়েছেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। ১৭২ বিঘা জমি মালিক পোদ্দারদের পুরো সম্পত্তিই এডভোকেট মৃত আউয়াল এর ০৪ (চার) ছেলের  দখলে । তার বাবা আনোয়ার হোসেন পোদ্দারদের কাজ করতেন। 
 
মেরী এন্ডারসন
 
     ১৯৩৩ সালের সময়ে এই বাংলার গভর্নর ছিলেন স্যার জন এন্ডারসন। জন এন্ডারসনের মেয়ে মেরী এন্ডারসনের নামেই এর নামকরণ করা হয় বলে ধারনা করা হয়ে থাকে। শুরুতে প্রমোদ-তরী হিসেবে ব্যবহার করা হলেও সময়ের সাথে সাথে পুরোন হয়ে যাবার দরুন প্রায় তিন যুগ ধরে এটি ভাসমান রেস্তোরা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ইংল্যান্ডের রাণী এলিজাবেথ ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ শাসন আমলে নৌপথে বাংলাদেশ ভ্রমণে আসেন এবং সেই সময়ে সরকারকে জাহাজটি তার মা রাণী মেরীর নামে দান করে যান। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পাকিস্থান আমলেও পূর্ব বাংলার গভর্নর বহুবার মেরী এন্ডারসন ব্যবহার করেন। বর্তমানে এটি একটি ভাসমান রেস্তোরায় রূপান্তরিত আছে।
 
ইপিজেড আদমজী
 
     আদমজী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সংক্ষেপে যেটি 'আদমজী ইপিজেড বা নারায়ণগঞ্জ ইপিজেড' নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সন্নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জ শহরের অদূরে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত। এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। ২৪৫.১২ একর এলাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইপিজেডটি বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা। সিদ্দিরগঞ্জ এলাকার আদমজি নগরে অবস্থিত হওয়ায় এর নাম করণ করা হয় আদমজি ইপিজেট। 
 
হাজীগঞ্জ দূর্গ
 
     হাজীগঞ্জ দুর্গ মুঘল আমলে নির্মিত একটি জল দুর্গ। এটি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানা হাজীগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এটি খিজিরপুর দুর্গ নামেও পরিচিত।  ঢাকা শহর কে রক্ষা করতে সপ্তদশ শতকের আগে পরে যে তিনটি জল দুর্গকে নিয়ে ত্রিভূজ জল দুর্গ বা ট্রায়াঙ্গল অব ওয়াটার ফোর্ট গড়ে  তোলা হয়েছিল তারই একটি হলো এই হাজীগঞ্জ দুর্গ। সম্ভবত মুঘল সুবাদার ইসলাম খান কর্তৃক ঢাকায়  মুঘল রাজধানী স্থাপনের অব্যবহিত পরে নদীপথে মগ ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে দূর্গটি নির্মিত হয়।  
 
বিবি মরিয়মের সমাধি
 
     বিবি মরিয়মের সমাধি একটি মুঘল আমলে নির্মিত একটি সমাধি সৌধ। এটি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার হাজীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত। এটি তৎকালীন মুঘল স¤্রাট নিয়োজিত সুবেদার শায়েস্তা খাঁন কতৃক নির্মিত বলে ধারনা করা হয়। সমাধি ও এর লাগোয়া মসজিদের নির্মাণ কাল ১৬৬৪-৮৮ খ্রিষ্টাব্দ অনুমান করা হয়। সমাধিতে শায়িত বিবি মরিয়মকে তৎকালীন বাংলার মুঘল সুবাদার শায়েস্তা  খানের কন্যা এবং ইরান দখত এর বোন তুরান দখত হিসেবে ঐতিহাসিকরা ধারনা করেন। 
 
পাগলা সেতু 
 
     পাগলা সেতু একটি মূঘল আমলে নির্মিত সেতু। এর ধ্বংসাবশেষ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পাগলা এলাকায় অবস্থিত। সম্ভবত ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার তৎকালীন সুবাদার মীর জুমলা নির্মাণ করেন। সুবাদার মীর জুমলার আমলে ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেশ কিছু মুঘল স্থাপনা যেমন রাস্তা, সেতু, সংযোগ সড়ক নির্মিত হয় । এছাড়াও চার্লস ড’য়লির আঁকা ছবিতে পাগলা  সেতুটির ভগ্ন অবস্থার যে চিত্র পাওয়া যায় তাতে সেতুটি যে দৃষ্টিনন্দন ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
 
মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি
 
     মুড়াপাড়া রাজবাড়িটি ৬২ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত। এই জমিদার বাড়িটি তৈরি করেন বাবু রামরতন ব্যানার্জী যিনি এ অঞ্চলে মুড়াপাড়া জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর তার কয়েকজন বংশধর কর্তৃক প্রাসাদটি সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়। ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে জমিদার প্রতাপচন্দ্র ব্যানার্জী এই ভবনের পিছনের অংশ সম্প্রসারণ করেন ও পরিবার নিয়ে এখানেই বসাবাস শুরু করেন। তার পুত্র বিজয় চন্দ্র ব্যানার্জী ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাসাদের সামনের অংশে একটি ভবন নির্মাণ ও ২টি পুকুর খনন করেন। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে তার দুই পুত্র জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জী ও আশুতোষ চন্দ্র ব্যানার্জী কর্তৃক প্রাসাদের দোতালার কাজ সম্পন্ন হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ার পর জগদীশ চন্দ্র তার পরিবার নিয়ে কলকাতা গমন করেন। এরপর থেকে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাড়িটি দখল নেয় এবং এখানে হাসপাতাল ও কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এখানে স্কুল ও কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করা হত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর বাড়িটির দায়িত্ব  গ্রহণ করে সেটিকে প্রতœতাত্তি¡ক স্থাপনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। বর্তমানে এটি মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ নামে পরিচিত।
 
শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম
 
     সোনারগাঁ উপজেলার বারদী বাজারের পশ্চিম-উত্তর কোণে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম অবস্থিত । প্রতি বছর উনিশ জৈষ্ঠ্য এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাপুরুষ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান উৎসব ও সপ্তাহ ব্যাপী মেলা বসে। ১২৯৭ সালের এই দিনে পরমপুরুষ শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রম্মচারী মৃত্যুবরণ করেন । তার এই মহাকাল প্রয়াণের দিনটিকে ভক্তি শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে স্মরণ করার জন্যই এই উৎসব ও  মেলার আয়োজন হয়। 
এই তিরোধান উৎসবে অংশগ্রহণ করতে প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ দেশের লক্ষাধিক লোকনাথ ভক্ত বারদী আশ্রমে এসে সমবেত হন । জৈষ্ঠের উনিশ তারিখ আশ্রমের চৌচালা ছাদের উপর থেকে ভক্তদের ছুঁড়ে দেয়া বাতাসা মিষ্টান্ন ও তা কুড়ানোর উচ্ছ¡ল আয়োজন হয় যা “হরি লুট” নামে পরিচিত । বারদীর লোকনাথ আশ্রম এখন শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থানই নয়, বরং ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকল ধর্মের, সকল মানুষের কাছে এক মিলন মেলা হিসেবে পরিচিত।
 
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি
 
     বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (বিআইএমটি) হল একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, যেখানে মেরিন এবং শিপ বিল্ডিং প্রযুক্তিতে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষাদান করা হয।বিআইএমটি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। এর ক্যাম্পাসের মোট আয়তন ৯ একর। এটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য কারো এর ভিতরে প্রবেশ সংরক্ষিত। 
 
রাসেল নগর পার্ক
 
     পরিবেশবান্ধব ঘনসবুজ ঘেরা ছায়া ঢাকা, নির্মল পানি সমৃদ্ধ লেক বেষ্টিত জীমখানাস্থ শেখ রাসেল পার্ক এখন নগরীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান। পার্কটি নারায়ণগঞ্জ নগরবাসীর একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিপুল সংখ্যক লোক এখানে প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ উপভোগ করার জন্য আগমন করে। লেকটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৭০ মিটার, প্রস্থ ৭৫ মিটার।
 
তাজমহল
 
     তাজমহল বাংলাদেশ হল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ১০ মাইল পূর্বে পেরাব, সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত প্রকৃত তাজমহল এর একটি হুবহু নকল বা অবিকল প্রতিরুপ।  বাংলাদেশের তাজমহলের মালিক আহসানুল্লাহ মনি একজন ধনবান চলচ্চিত্র নির্মাতা, তিনি ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে তার 'তাজমহলের কপিক্যাট সংস্করণ' প্রকল্পের ঘোষণা করে। ২০০৩ সালে সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এটি নির্মাণে মূল তাজমহলের মত একই মার্বেল এবং পাথর ব্যবহার করা হয়েছে।
 
পিরামিড
 
     ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয় পৃথিবীর সপ্তার্শ্চযের অন্যতম মিসরের পিরামিডের আদলে গড়ে তোলা পিরামিড । মিসরের বাদশাহ ফেরাউনের মমিসহ আর ও সাতটি মমির ডামি ধারাবাহিকভাবে সাজানো রয়েছে। এর ভেতরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে হয়। ভেতরে সংরক্ষিত মমিগুলোর তথ্য ও কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়েছে মিসর ও চীনের বিভিন্ন জাদুঘর থেকে। 
 
রাসেল পার্ক
 
     ১৯৯০ সালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার মুড়াপাড়ায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল রাসেল পার্ক। ৩৫ বিঘা জমির ওপর এই পার্কটিতে রয়েছে বিনোদনের নানা আয়োজন। গাছগাছালিতে ভরা এই পার্কটিতে রয়েছে মনোরম দ্বিতল বাংলো। আরও রয়েছে কৃত্রিম লেক, সুসজ্জিত নৌকা, পুকুর, ¯িøপার ও দোলনাসহ সবুজ ঘাসে ঢাকা শিশুদের জন্য খেলার মাঠ। এছাড়াও কৃত্রিম হাতি, ঘোড়া, জিরাফ, হরিণ, বাঘ, পুকুরে হাঁস, আঁকাবাঁকা পথের ধারে ঘোড়ার মূর্তি পার্কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। শুধু কৃত্রিম পশুপাখিই নয়, মিনি পার্কের মিনি চিড়িয়াখানায় রয়েছে খরগোশ, হরিণ, ভালুক, ঘোড়া, হনুমান, বানর, শিয়াল, সাপসহ হরেক রকম পাখি।
 
জিন্দা পার্ক
 
     জিন্দা পার্ক বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় দাউদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৭ কিমি দূরে নতুন স্যাটেলাইট শহর পূর্বাচলের উত্তর-পূর্ব কোণে ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস সগকঘেঁষে এই পার্কটি অবস্থিত। উত্তরে ও পূর্বদিকে একটি ছোট হ্রদ একে ঘিরে রেখেছে। জিন্দা পার্ক প্রায় ৩৩ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। এখানে প্রায় ২৫০ প্রজাতির প্রায় ২৫ হাজার গাছ রয়েছে। পাঁচটি জলাধার রয়েছে, যা মোট জাযগার ২৫ শতাংশ। আছে বৃক্ষ-ঘর, টিলা, ফুলের বাগান এবং হ্রদের ওপর ব্রিজ। এছাড়া বিদ্যালয়, মসজিদ, পাঠাগার, কটেজ, অফিসসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা রয়েছে।